এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বাংলাদেশি এক যুবকের। এক পর্যায়ে ভারতে যান প্রেমিকাকে দেশে নিয়ে আসতে। তবে সীমান্ত পার হওয়ার আগেই ধরা পড়ে প্রেমিক যুগল। পরে নারী পাচারের অভিযোগ তুলে প্রেমিকার পরিবারের হাতে মার খেয়েছেন বাংলাদেশি ওই যুবক।
এ ঘটনাটি ঘটেছে, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্সের মালবাজার এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাও ওই তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় বাংলাদেশি যুবকের। দু'জনের মধ্যে প্রতিদিনই কথা হত।
কয়েক মাস কথা বলার পর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন ওই যুবক। তরুণী তাতে রাজিও হলে, তাকে বাংলাদেশে আনতে, পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে বৈধভাবে ভারতে যান ওই যুবক। আর বৈধভাবে বাংলাদেশে যেতে পৃথকভাবে পাসপোর্ট ভিসা করেন ওই তরুণীরও।
গত সোমবার তরুণীকে নিতে আসতে মালবাজারে যান যুবক। বাড়িতে কিছু না জানিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যান তরুণী। পরে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে মেটেলি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। তদন্তে নেমে মোবাইলের নেটওয়ার্ক ট্রেস করে মঙ্গলবার (০৭ মে) মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের দু'জনকে আটক করে মালবাজার পুলিশ।
পরে মেটেলি থানাকে খবর দিলে তারা, মালবাজার থানায় গিয়ে ওই দুজনকে আটক করে মেটেলি থানার দিকে রওনা হন। তবে মাঝপথেই ঘটে বিপত্তি। মালবাজার শহরের ক্যালটেক্স মোড়ে আচমকাই পুলিশের গাড়ি বিকল হয়ে যায়। আর সেই খবর পেয়ে তরুণীর পরিবার পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে।
পরে আটক বাংলাদেশি যুবককে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাকে ব্যাপক মারধরও করা হয়। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাদের সঙ্গেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
পরে মালবাজার থানার আইসির নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটক তরুণী ও যুবককে ফের মালবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ওই বাংলাদেশি যুবক এর আগে অন্তত তিনটি বিয়ে করেছেন। তিনি ওই তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পাচার করার উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিলেন।